আবুল হায়াত। মেকআপের যুগে অন্যরকম এক অভিনেতা। এ যুগে আর্টিস্ট আর বক্তার কোন অভাব নেই। তাদের জ্ঞান অসীম। এ জ্ঞান তারা ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসীনদের সন্তুষ্ট করার জন্য। কোন নির্বাচন এলেই ধামন্ডিতে লম্বা লাইন পড়ে যায়। মানুষের মধ্যে দ্বিধা জন্ম নেয়, বেইলি রোড অথবা এফডিসি কি ধানমন্ডিতে চলে গেলো নাকি। মৃ’ত বিবেকের এই সময়ে আবুল হায়াত সত্যিই অন্যরকম। আবরাত হ’ত্যার বিচার চেয়ে বুয়েটের এই সাবেক ছাত্রের দেয়া একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সর্বত্র। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, আমরা যখন বুয়েটে পড়েছি তখন এখানকার পরিবেশ এমন ছিলো না। আমরা যখন আন্দোলন করতাম তখন ভিসি এসে আমাদের সামনে বসে থাকতেন। আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসতেন। কারণ তিনি আমাদেরকে নিজের সন্তানের মনে করতেন। এসময় তিনি বলেন, আর আজকের ভিসি। আমার সন্তান মা’রা যাওয়ার খবর শুনে আমি যাবো না সেখানে। ভিসির সন্তান নয় ছাত্ররা। এর চেয়ে অবাক করার ঘটনাতো আর কিছু হতে পারে না। আপনারা বিশ্বাস করুন, আমার স্ত্রী হাইপারটেনশনের রোগী। কালকে থেকে প্রায় বিছানায় পড়ে আছেন। তিনি বলছেন, এই ছেলেটা তো আমাদেরও ছেলে হতে পারতো। এই ছেলেদের সাথে তো তুমি সেদিন অনুষ্ঠান করে আসলে না। তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ! আমি দুঃখিত! এই গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা শেরে বাংলা হলে ৫০ বছর পূর্তি পূনর্মিলন অনুষ্ঠান করেছি। এবং আরো দুর্ভাগ্য আমার এই ছেলেগুলোকে আমি চিনি। গত বছর যখন হলফেস্ট হলো তখন এরা আমাকে ফোন করেছিলো। যে হায়াত ভাই আপনি অবশ্যই আসবেন। আমরা পুরোনো ছাত্রদেরকে চাই। আমি এসেছিলাম। আরো অনেকে এসেছিলো। আজকে ছাত্রদের যে দাবি আমি তার সঙ্গে আমি একমত আছি। আপনারাও আমার সঙ্গে একমত হবেন আশা করি। তবে ছাত্র রাজনীতি খারাপ আমি তা বলবো না। ছাত্র রাজনীতি করেই আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু যারা পেছন থেকে ছাত্র রাজনীতিকে অপব্যাবহার করে তাদের বিরুদ্ধে একশন নিতে হবে। প্রশাসনকে আগে ধুয়ে-মুছে সাফ করতে হবে। হারপিক বা এর চেয়েও কড়া কিছু থাকলে তাদেরকে পরিষ্কার করতে হবে।