সম্ভবত যুবলীগের ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ৭১ বছর বয়স্ক এই যুবক টানা ১০ বছর যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সময়ে যুবলীগে তার কথাই ছিল শেষ কথা। তার উত্থান যেমন ছিল বিস্ময়কর, পতনও যথারীতি অবিশ্বাস্য। বলছি সদ্য যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ হারানো ওমর ফারুক চৌধুরীর কথা। সম্প্রতি ঢাকারই একটি দৈনিকে তাকে নিয়ে লেখা হয়েছে, বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন তাঁর। তামাকের বিকল্প ‘টেন্ডু পাতা’ থেকে শুরু করে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করেছেন। কিন্তু ব্যবসা তাঁকে ঋণখেলাপি করেছে। রাজনীতিও তাঁকে হতাশ করেছে লম্বা সময়। বিড়ি শ্রমিক লীগ, জাতীয় পার্টির যুব সংগঠন, তারপর আওয়ামী লীগ করেও লম্বা সময় ছিলেন পেছনের কাতারে। তবে যুবলীগ তাঁকে নিয়ে গেছে শীর্ষে। যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর শোধ করেছেন পুরোনো ব্যর্থতার দেনা। ভাগ্যগুণে ওমর ফারুক চৌধুরী এমন সাফল্য পেয়েছেন বলে মনে করছেন যুবলীগের অনেক নেতা। তাঁরা জানান, ২০০৩ সালে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ওমর ফারুক। এর আগের কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আর ২০১২ সালে হন চেয়ারম্যান। এরপর থেকে যুবলীগে তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের শীর্ষ পদ পাওয়ার পর সম্পদ নিলামে ওঠার পরিস্থিতি সামলে নিয়েছেন এবং ধনাঢ্য জীবন যাপন করছেন। যদিও তাঁর দৃশ্যমান কোনো ব্যবসা নেই।